সোমবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভালোবাসা

যখন তুমি বাসলে ভালো
ভুল বুঝেছে মন,
কেদনা মন ভালো থেকো
চোখেতে অনশন।
এখন তুমি অনেক দূরে
কেমন করে থাক ?
আমার স্মৃতি সত্যি ওড়ে ?
তেমন মনে রাখ ?
অনুভূতি কয়দিন আর
থাকবে অনেক তাজা !
দুদিন পরে বাসি হবে
সেসব স্মৃতির সাজা ।
যে হাত ধরে শান্তি লাগে
দুঃখ ভোলায় ছুয়ে,
সে হাত মাঝে হাত পুরলে
সুখ গো ভেলায় নুয়ে ।
যে চোখটি খুজছে আমায়
তোমায় খোঁজে অন্য,
চার চোখেরই মিলন হবে
ভালোবাসায় ধন্য ।
                          (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান)

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

আত্মহনন

চূর্ণ করে অঙ্ক সকল
ভাঙ্গল বন্ধ সাধ ,
না কিছুতেই হারিয়ে যাব
ছিঁড়ব পাতা ফাঁদ।
আজ যদি ঐ কাল বিকেলের
মরন চাপতে চায়,
জীবন ধরে বাঁচব কবে
চরন আস্তে ধায়।
হা হুতাশে হাপিত্যেশে
চোখের জল গো নাকে,
কানা শালিক ডাকে একা
ডাকে আবার কাকে ?
                                        (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান)

হলুদাভ

সিরামিকের শাদা ফুলদানিটা বাম হাত থেকে ছেড়ে দিয়েছিলাম,কালো শক্ত মেঝেতে পড়ে চুরমার হয়ে যাক।বেশ কিছু সময় তো লাগে পড়ে জেতে,তারপর ভেঙ্গে যেতে,তাই আবার ডান হাতে ধরেছি ,ভেঙ্গে যাবার কিছু আগে।
ফুলদানিটা কারো খোঁপায় ছিল তাই ভাঙ্গতে গেলে নিজেই ভেঙ্গে যাচ্ছি বলে মনে হয়।
এই ঘরের হলুদ আলো ছাড়া আর কোন রঙ নেই,একটা মাত্র জানালায় নীল রঙ।সে জানালার ফাক গলে হাত টা বাইরে নিলে হাতে শুধু নীল রঙ লেপটে যায়।ঘরময় হলুদ আর জানালার নীল রঙ মিলে কবে যে কি রঙ হয় সে আশঙ্কাও আসে মনে ।
নীল জানালায় একটা শাদা মুখ চোখে পড়ল।
কিছু বলবে নাকি? নাকি ভিক্ষে চায় ! বললাম কিছু বলতে ।
এটাও বুঝলাম চোখ নেই মেয়েটার কিন্তু তবু যেন দেখছে।
-আপনার শাদা বিড়াল টা একটু পরে বাঘ হয়ে আপনাকে খেয়ে ফেলবে ।
আমি বলতে ভুললাম না যে বিড়াল টা তো দেয়ালের পেইন্টিং এ ছিল, সেখান থেকে লাফ দিয়ে
পাশে এসে বসল ।ঘরময় আমি আর সে । কেটে গেছে অনেক মুহূর্ত,একটি বারের জন্যও সে আমার টুকরো টুকরো নিঃশ্বাস গুলো খেয়ে ফেলেনি ।সে বাঘ হবে কেন !
-কারন আপনি মনে করেন অথবা একটু পরেই মনে করবেন সে আপনাকে বাঘ হয়ে খাবে ।
-তারপর ?
-তারপর এই ঘরে শুধুই শুন্যতা,বিড়াল টা আবার পেইন্টিং এ ফিরবে।আসলে আপনার দরকার ছিল একটা রক্ত গোলাপ ।
-গোলাপ পাব কোথায় ?
-আপনার সব রক্ত যদি এই ঘরময় ছড়িয়ে যায় তাহলে একটা গোলাপ হতে পারতো কিন্তু সেতা রাখবেন কোথায় ফুলদানিটা তো ভাঙ্গা !
-না না ভাঙ্গেনি ।
-ভেঙ্গেছে ,বাম থেকে ডান হাতে যাবার অনেক আগেই চুরমার ।
মেয়েটা চলে যাচ্ছে ,হেসে হেসে,কত সুন্দর সেই হাসির শব্দ।এই হলুদ ঘর আর হলুদ হয়ে এল।
বাইরে থেকে তালাবদ্ধ এই ঘরটার দরজায় আস্তে আস্তে টোকা দিয়ে কি বলব ,"এই যে কেউ কি আছেন ?খুলুন অথবা ভেঙ্গে ফেলুন না !আমাকে বাইরে প্রবেশ করতে দিন"
বিড়াল টা বাঘ হয়ে বসে আছে ।চোখ দুটো কি ভীষণ কালো !বাঘের চোখ ক্ষোভে কালো হয় ?
এমন একটা ইচ্ছে এসেছিল, মনে হয় বলি,ভালবাসা না থাকলেই কি সব বিড়াল কে বাঘ হয়ে যেতে হয় ?
বলা হয়নি।
আমি এখন লাল একটা ঘরে।
আমার পায়ে বড় বড় নখ।বড় হয়েই যাচ্ছে!!!
                                                                            (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান)

আষাঢ়ে নয় শ্রাবণে

পকেটে রাখা ছবিটা ভেজাই ছিল
ভিজে গেল বৃষ্টিতে,
ছাতাটা ভেঙ্গে গেছে অনেক আগে
হারামির মত ।
অন্ধকারে এভাবে পরে যায় মুভিতে
পরে গেলাম আমিও,
শিকড় না উপড়ে গেলেও বুড়ো আঙ্গুলের
নখ উপড়ে গেছে ।
রক্তের রঙ অন্ধকারে কালোই হয়
না ,না, নীল বলার অযৌক্তিক কারণও নেই।
খুড়িয়ে খুড়িয়ে কোথায় জাচ্ছি জানিনা,
তবে বুঝতে পারলাম ,
ভেজা ছবিটা হাত থেকে মিলিয়ে গেছে আঁধারে,
হয়তবা ভিজছেই ,
অনেকদিন শুকনো ছিলত !
ছবিটা আমি চুরি করেছিলাম
ছোট ফুফুর ঘর থেকে
আমার মায়ের ছবি ।
                                                      (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান)

তোমরা

ভালো মানুষ হৃদয় তোমার
আকাশ থেকেও বড়,
হৃদয় মাঝে আকাশ পোষ 
সলীল বক্ষে ধর ।
তোমার থেকে ধার করব
অনেক রঙের গুণ,
তখন দেখো মানুষ হব
ধরবেনা আর ঘুণ।
খুব অল্প এই সময়ে
থাকব নেশায় পড়ে ,
নেশায় নেশায় দুপুর বেলায়
মর্মে কড়া নড়ে ।
আমার আঁধার অনেক গাঢ়
চোখের আলো শেষ ,
তোমার আলো পড়লে চোখে
থাকবে আশার রেশ।
( নয়ন এবং অপূর্ব দুজন ভালো মানুষের প্রতি)
                                                                              (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান) 

কাকঘুম

  ডরমিকামে বুদ হয়েছ 
দিন হয়েছে রাত,
এখন আলো নেভাই থাকে
সন্ধ্যা কিবা প্রাত ।
ছিটকে গেলে নীহারিকা
উল্কা ঝরে ত্রস্ত,
নক্ষত্র হাত তালি দেয়
ব্যাঙ্গ হাসি গ্রস্থ।
একবার কি দেখবে তুমি
তোমার চোখের ভুল ?
নাকি আয়না ঘোরেই রবে
নড়বে না এক চুল?
বন্ধ দ্বারে নড়বে কড়া
কানটা পেতে থেকো,
কাকঘুমেরই শিকল পরা
          তবু স্বপ্ন দেখো ।                 (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান) 

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

আষাঢ়ে নয় শ্রাবণে

 পকেটে রাখা ছবিটা ভেজাই ছিল 
ভিজে গেল বৃষ্টিতে,
ছাতাটা ভেঙ্গে গেছে অনেক আগে
হারামির মত ।

অন্ধকারে এভাবে পরে যায় মুভিতে
পরে গেলাম আমিও,
শিকড় না উপড়ে গেলেও বুড়ো আঙ্গুলের
নখ উপড়ে গেছে ।
রক্তের রঙ অন্ধকারে কালোই হয়
না ,না, নীল বলার অযৌক্তিক কারণও নেই।

খুড়িয়ে খুড়িয়ে কোথায় জাচ্ছি জানিনা,
তবে বুঝতে পারলাম ,
ভেজা ছবিটা হাত থেকে মিলিয়ে গেছে আঁধারে,
হয়তবা ভিজছেই ,
অনেকদিন শুকনো ছিলত !

ছবিটা আমি চুরি করেছিলাম
ছোট ফুফুর ঘর থেকে

আমার মায়ের ছবি ।

                                      (এ বি এম এহসান উল্লাহ খান)